আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফুলের তোড়ায় বরণ করে হল আলিঙ্গন। সঙ্গে ছিল টাকির মালপোয়া। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ইছামতি নদীতে দুর্গাপূজার বিসর্জনের প্রস্তুতি নিয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে হল বৈঠক। টাকির ৮৫ নম্বর ব্যাটালিয়নের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট বিনোদ কুমার ও অন্যান্য বিএসএফ আধিকারিক ছাড়াও ছিলেন হাসনাবাদের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক মহম্মদ ওমর আলি মোল্লা, স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপাল বিশ্বাস, টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় এবং অন্যান্যরা। পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের তরফে ছিল সাত জনের একটি প্রতিনিধি দল। 

 

 

ঐতিহ্যবাহী ইছামতিতে দুই বাংলার প্রতিমা বিসর্জন যথেষ্টই আকর্ষণীয়। দশমীর দিন নৌকা করে প্রতিমা নিয়ে আসেন দুই বাংলার নাগরিকরা। নদীতেই বিসর্জনের পর দু'দেশের নাগরিকরা পরস্পর পরস্পরকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান। এই মিলন মেলার সাক্ষী হতে বছরের এই দিনটিতে ইছামতির পাড়ে ভিড় জমান বহু মানুষ। এমনকী কলকাতা থেকেও লোকজন যান এই দিনটি উপভোগ করতে। ইছামতির পাড়ে হোটেলে জায়গা পাওয়া যায় না। 

 

 

এ দিনের বৈঠকে বিসর্জনের চূড়ান্ত দিন হিসেবে ধার্য হয়েছে ১৩ অক্টোবর, রবিবার। সুরক্ষার খাতিরে উড়বে ড্রোন, বায়নোকুলারের সঙ্গে সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারি চালাবে বিএসএফ। যেহেতু এ বছর বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে এবং তার প্রভাব যাতে কোনওভাবেই এই উৎসবে না পড়ে সে জন্য দুই দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর থেকে কঠোরতর করা হবে। জানা গিয়েছে, অনুষ্ঠান চলাকালে স্পিড বোট নিয়ে নদীতে টহল দেবে বিএসএফ।